Logo

ভলাকুট.ক্ষেত্রনাথ বিশ্বাস উচ্চ বিদ্যালয়

EIIN: 103451

ESTD: 1970

Logo
Hero

বিদ্যালয়ের ইতিহাস

ভলাকুট কে,বি উচ্চ বিদ্যালয়: হাওর অঞ্চলের আলোকবর্তিকা ভলাকুট কে,বি উচ্চ বিদ্যালয়টি বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট গ্রামে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রত্যন্ত হাওর অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়ানোর মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি শুধুমাত্র একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, বরং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে উন্নয়নের প্রতীক।

প্রতিষ্ঠা ও পরিচিতি -
ভলাকুট কে,বি উচ্চ বিদ্যালয় ০১ জানুয়ারি, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। শিক্ষানুরাগী স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি জনাব ক্ষেত্রনাথ বিশ্বাস ও সাধারণ মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং সহযোগিতায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। হাওর ও জলাভূমি-অধ্যুষিত অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এটি এলাকার ছেলে-মেয়েদের জন্য উচ্চ শিক্ষা লাভের এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত বিদ্যালয়টির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সনাক্তকরণ নম্বর (EIIN) হলো ১০৩৪৩৫১।
ভৌগোলিক অবস্থান ও পরিবেশ- বিদ্যালয়টি নাছিরনগর উপজেলার ভলাকুট গ্রামে অবস্থিত। ভৌগোলিকভাবে এটি একটি গ্রামীণ এবং হাওর অঞ্চল সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। এই ধরনের পরিবেশে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা ছিল এক বিশাল চ্যালেঞ্জ, যা স্থানীয়দের দৃঢ় সংকল্পের ফলেই সম্ভব হয়েছিল। সময়ের সাথে সাথে, বিদ্যালয়টি তার আশেপাশের গ্রামগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার প্রধান আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে।
শিক্ষাদান ও অবদান-প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ভলাকুট কে,বি উচ্চ বিদ্যালয় সুনামের সাথে তার শিক্ষাদান কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। মাধ্যমিক পর্যায়ে এই প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করে তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য প্রস্তুত করে তোলে। পরিচালনা পর্ষদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়টি তার পাঠদান ও পরিচালনার কাজ সুচারুভাবে সম্পন্ন করে। গত কয়েক দশকে প্রতিষ্ঠানটি অসংখ্য কৃতী শিক্ষার্থী তৈরি করেছে যারা দেশ ও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এবং অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রমেও বিদ্যালয়টির অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য। ভলাকুট কে,বি উচ্চ বিদ্যালয় তার প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে অর্ধ-শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে এই হাওর অঞ্চলের মানুষের কাছে জ্ঞানের আলো পৌঁছে দিচ্ছে। এলাকার শিক্ষাবিস্তারে প্রতিষ্ঠানটির অবদান অনস্বীকার্য। স্থানীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিদ্যালয়টি ভবিষ্যতেও এই অঞ্চলের একটি আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে যাবে, এই প্রত্যাশাই স্থানীয় মানুষ ও শিক্ষানুরাগীদের।